Your Cart
:
Qty:
Qty:
আয়ুর্বেদিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বিলোনা সরের ঘি

বিলোনা সরের ঘি সম্পর্কে জানুন, তারপর অর্ডার করুনঃ
বিলোনা অর্থ মন্থন বা চার্নিং। দেশি গাভীর দুধ হতে তৈরী দই এর উপর সরের আস্তরণ কে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডানে বামে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঠান্ডা পদ্ধতিতে মাখন তৈরি করা করা হয়। মাখন তৈরী হয় চার্নিং বা বিলোনা মেথডে। সেই মাখন অল্প আঁচে দীর্ঘ সময় ধরে জাল করে তৈরী করা হয় প্রাচীন এই বিলোনা সরের ঘি। যাতে ঘি এর সকল ধরনের পুষ্টিগূন অক্ষুন্ন থাকে। ক্রিমের ঘি এর চেয়ে এই ঘি এর স্বাদ ঘ্রান সম্পূর্ণ আলাদা ও আয়ুর্বেদিক পুষ্টি উপকারীতা সবচেয়ে বেশি।
যদি ঘি এর সম্পূর্ণ উপকারীতা পেতে হয় অবশ্যই বিলোনা সরের ঘিটাই খেতে হবে। আর ক্রিমের ঘি এর চেয়ে এই ঘি এর দাম তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।
কেন বিলোনা সরের ঘি এর দাম বেশি?
বিলোনা পদ্ধতিঃ
বিলোনা পদ্ধতিতে ঘি তৈরীর জন্য দুধ জাল করে বিভিন্ন ছোট ছোট পাতিলে সারারাত রেখে দেয়া হয় তখন পাতিলের দুধ গুলো ফার্মেন্টশনের ফলে দইয়ে পরিণত হয় এবং দইএর প্রতিটি পাতিলের দইএর উপরে মোটা ফার্মেন্টেড (গাঁজানো) সরের স্তর জমা পড়ে এই সরের স্তর গুলো উঠিয়ে আলাদা পাত্রে ১-২ দিন বা তার বেশিদিন রেখে ফার্মেন্টশন করা হয়। ফলে এই সরের মধ্যে আয়ুর্বেদিক পুষ্টিগূন তৈরী হয়।
এই প্রক্রিয়ায় ঘি তৈরী করতে ২-৪ দিন বা তার চেয়েও বেশি সময় লাগে। আগের দিনে আমাদের মা চাচিরা বা দাদি নানীরা এইভাবে দুধের সর কয়েকদিন ধরে সর জমা করে তারপর সেটাকে মাখনে পরিনত করতেন।আর এই মাখনকেই স্লো কুকিং প্রসেসে বা অল্প আঁচে জাল করে ঘি তৈরী করা হয়। এই ঘি টাই বিলোনা সরের ঘি।
ক্রিমের ঘিঃ
গরুর দুধ হতে ক্রিম সেপারেটরের মাধ্যমে ক্রিম বা ফ্যাট আলাদা করা হয় যা চুলায় হাই হিটে ৩-৪ ঘন্টা জাল করে ঘি তৈরী করা হয় যা শুধুমাত্র ১০-১২ ঘন্টার প্রসেস। এটাই বাংলাদেশের বানিজ্যিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বিলোনা পদ্ধতির চেয়ে কম সময় এবং কম পরিশ্রম হয় যেকারণে একদিনেই অধিক পরিমাণে ঘি তৈরী সম্ভব হয়।
আর বিলোনা পদ্ধতিতে অনেক সময় এবং পরিশ্রম বেশি এবং দুধের পরিমাণও বেশি লাগে তাই এই ঘি এর দাম বেশি এবং বাংলাদেশে এই পদ্ধতির বানিজ্যিকভাবে তেমন তৈরী হয়না বললেই চলে।